۲۱ آذر ۱۴۰۳ |۹ جمادی‌الثانی ۱۴۴۶ | Dec 11, 2024
সিরিয়ার প্রবেশ করছে ইসরায়েলি ট্যাংক
সিরিয়ার প্রবেশ করছে ইসরায়েলি ট্যাংক

হাওজা / বাশার আল আসাদ সরকারের পতনের পর গোলান মালভূমি থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে বেশ কিছু ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, রাতারাতি সিরিয়ায় দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল আসাদ সরকারের পতনের পর গোলান মালভূমি থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে বেশ কিছু ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক। পরে সিরিয়ার অভ্যন্তরে ট্যাঙ্ক প্রবেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।

আইডিএফ নিশ্চিত করে যে তারা আসাদ সরকারের পতনের পর গোলান মালভূমিতে ইসরায়েল ও সিরিয়ার মধ্যে বাফার জোনে নতুন অবস্থান গ্রহণ করেছে।

সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, গোলান মালভূমির জনগোষ্ঠী এবং ইসরায়েলের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আইডিএফ বাফার জোনে এবং সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় বেশ কয়েকটি এলাকায় সেনা মোতায়েন করেছে।"

আইডিএফ দাবি করেছে, সিরিয়া থেকে বন্দুকধারীদের বাফার জোনে প্রবেশের সম্ভাবনা থাকায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সামরিক বাহিনী জোর দিয়ে বলেছে, আইডিএফ সিরিয়ায় সংঘটিত ঘটনাগুলোতে হস্তক্ষেপ করে না।

ইসরায়েল ১৯৬৭ সালে সিরিয়ার গোলান মালভূমির অধিকাংশ অংশ দখল করে। ১৯৮১ সালে সেটির পুরোটাই তারা নিয়ন্ত্রণে নেয়। ১৯৭৪ সালের পর এটি প্রথমবারের মতো ইসরায়েলি বাহিনী ইসরায়েল এবং সিরিয়ার মধ্যে বাফার জোনে অবস্থান নিয়েছে। আইডিএফ অতীতেও বেশ কয়েকবার সংক্ষিপ্তভাবে বাফার জোনে প্রবেশ করে।

তবে বর্তমান সিরিয়া পরিস্থিতি বেসামাল। এমন অবস্থায় ইসরায়েলের সামরিক কার্যক্রম সিরিয়ার অভ্যন্তরে দেখা গেলে আরও সংঘাত ছড়িয়ে পড়বে।

২০১১ সালে আরব বসন্তের জের ধরে সিরিয়ার বিক্ষোভ শুরু হয়। ক্রমে তা রুপ নেয় গৃহযুদ্ধে। রাশিয়া আর ইরানের সমর্থনপুষ্ট বাশার আল আসাদ নিজের ক্ষমতা অনেকটা সংহত করে রাখতে পেরেছিলেন। কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া নতুন লড়াইয়ে একের পর এক বড় বড় শহরের নিয়ন্ত্রণ হারায় সরকারি বাহিনী।

রোববার বিদ্রোহী দলগুলো টেলিগ্রাম বার্তায় জানায়, ‘বাথ শাসনের অধীনে ৫০ বছরের নিপীড়নের পরে, এবং ১৩ বছরের অপরাধ ও অত্যাচার এবং (জোর করে) বাস্তুচ্যুত হওয়ার পর... আমরা আজ এই অন্ধকার সময়ের অবসান এবং সিরিয়ার জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা ঘোষণা করছি।’

দুই সিনিয়র সেনা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, বিদ্রোহীরা সরকারি বাহিনীর প্রতিরোধ ছাড়াই রাজধানীতে প্রবেশ করেছে। হাজার হাজার গাড়িতে এবং পায়ে হেঁটে দামেস্কের প্রধান চত্বরে জড়ো হয়ে স্বাধীনতা স্লোগান দিচ্ছিল।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .